Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলী ও উল্লেখযোগ্য অর্জনঃ (২০০৯-২০১৮)।

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলী ও উল্লেখযোগ্য অর্জনঃ  (২০০৯ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত)

২০০৯

১। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ ২০০৯-২০১৩ মেয়াদের জন্য জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়। এর ফলে বাংলাদেশের সাথে ইউনেস্কোর সম্পর্ক আরো নিবিড় হয়।

 

২। বিএনসিইউ ২০০৯ ও ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ উদ্যোগে আইসেস্কোর সহযোগিতায় দুটি আন্তর্জাতিক আন্তঃধর্ম ও আন্তঃসংস্কৃতি সংলাপ আয়োজন করে। ১ম সম্মেলনটি তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান উদ্বোধন করেছিলেন। এতে ২২ টি দেশের শতাধিক বরেণ্য ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন দুটির সফল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জোরদার ভূমিকা প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

৩। আইসেস্কোর সহযোগিতায় গত ২১-২৩ জুলাই ২০০৯ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “Regional Workshop in the Field of Literacy Computer Programs” শীর্ষক ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বাংলাদেশসহ তিনটি দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৩ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে কারিকুলামের উন্নয়ন কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়, আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও বেরিয়ে আসে।

   

৪। আইসেস্কোর সহযোগিতায় গত ২৬-২৮ মে ২০০৯ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “National Training Session in the Field of Vocational and Technical Training” শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বাংলাদেশের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, স্কুল ও কলেজের ত্রিশ জন ইন্সট্রাক্টর এবং শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণটি TVET (Technical and Vocational Education and Training) এর উপযুক্ত তথ্যবহুল কারিকুলাম সম্পর্কে এবং টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে সক্ষম হয় যারা দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের মত একটি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য টেকনিক্যাল বিষয়ে জ্ঞানের প্রায়োগিক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী বলে প্রতীয়মান হয়।

 

৫। গত ২১-২৩ জুলাই ২০০৯ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “Regional Workshop in the field of Literacy Computer Programs” শীর্ষক ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বাংলাদেশের ২০ জন কলেজের শিক্ষক এবং তিনটি দেশের (পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ) ০৩ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এটি একটি অংশগ্রহণমূলক কর্মশালা যার মাধ্যমে শিক্ষা এবং শিক্ষণের ক্ষেত্রে ICT এর একটি যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। কারিকুলাম বিকাশের জন্য স্টাফদের কম্পিউটার দক্ষতা বাড়ানোর উপর জোর দেয়া হয়। কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাক্ষরতা কৌশল গ্রহণের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়।  

 

৬। আইসেস্কোর সহযোগিতায় গত ১২-১৪ জানুয়ারি ২০০৯ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “Sub-Regional Quranic Meeting of the Heads of Quran Memorization Institutes and teachers of the Holy Quran” শীর্ষক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বাংলাদেশের সরকারী-বেসরকারি বিভিন্ন মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ মোট ২০ জন অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরান শিক্ষা করা ও এ আলোকে জীবন নির্বাহ করা এবং অন্যদেরও কোরান শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করা উচিত, এ বিষয়ে সবাই একমত প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য আইসেস্কোই ৩,০০০ (তিন হাজার) ইউএস ডলারের ফান্ড প্রদান করে থাকে।

 

২০১০

৭। ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বরে ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনসিইউ World AIDS Day-2010 উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সভার উদ্দেশ্য ছিল সর্বসাধারণ তথা যুবক সম্প্রদায়কে এইচআইভি সম্পর্কে সচেতন করা এবং এর কুফল ও প্রতিকার সম্পর্কে অবগত করা। এ সভা ও র‍্যালী সবার মধ্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।

 

৮। গত ১৩-১৫ ডিসেম্বর ২০১০ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “Sub-Regional Workshop on the incorporation of environmental education in the educational curricula for primary and secondary levels and revision of textbooks”  শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং স্কুল টেক্সটবুকে পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণে কর্তৃপক্ষকে উদ্বুদ্ধ করা। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের দেশী-বিদেশী ১৫ জন কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেন।

 

৯। গত ০৫-১২ ডিসেম্বর ২০১০ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ “Education for International Understanding (EIU) Photo Class-2010” প্রোগ্রামের আয়োজন করে, এ প্রোগ্রামে কোরিয়া থেকে আসা একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের EIU এর উপর ছবি তোলা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। 

 

২০১১

১০। গত ১৫-১৭ নভেম্বর ২০১১ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “Regional Workshop on Introducing New Trends in Science Curricula and Teaching Materials” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মশালার মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান শিক্ষার ফলপ্রসূ উপায় সম্পর্কে ধারণা অর্জিত হয় এবং শিক্ষক ও কারিকুলাম প্রণেতাদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয় যার মাধ্যমে সেকেন্ডারি ও টারসিয়ারি লেভেলের স্কুলগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষায় উপযুক্ত মডেল তৈরি করা যায়। এ কর্মশালায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ জন (২ জন বিদেশীসহ) শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

         

১১। আইসেস্কোর সহযোগিতায় গত ২৭-২৯ ডিসেম্বর ২০১১ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “Sub-regional Experts Meeting on Poverty Eradication in Developing Countries Reinforce the capacities in poverty eradication policies and programmes” শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার উদ্দেশ্য ছিল দারিদ্র্যের কারণ ও পরিণাম সম্পর্কে ভালভাবে জানা, এ অঞ্চলে দারিদ্র্যের পরিমাপের মানদণ্ড নিরূপণ ও এর উন্নয়ন সাধন, এবং পরস্পরের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা ও দারিদ্র দূর করার উপায় সম্পর্কে অবগত হওয়া। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের দেশী-বিদেশী ২৬ জন কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেন।

 

২০১২

১২। আইসেস্কোর সহযোগিতায় গত ২০-২২ নভেম্বর ২০১২ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “Training Course on Preliminary Aids and Relief for Disaster prone Region” শীর্ষক ট্রেনিং কোর্স অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বাংলাদেশসহ চারটি দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৯ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে এবং বিভিন্ন দেশের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়। বাংলাদেশের সরকারী ও বেসরকারি পদক্ষেপসমূহ দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে। পুনর্বাসন ও শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হয়।

 

১৩। আইসেস্কো ঢাকাকে ২০১২ সালের জন্য “Dhaka the capital of Islamic Culture 2012” ঘোষণা করে।

 

১৪। বিএনসিইউ’র কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ ২০১৩ সালের ইউনেস্কো সাক্ষরতা পুরস্কার পেয়েছে (ঢাকা আহসানিয়া মিশন)।

 

১৫। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক মিজ ইরিনা বোকোভা “Cultural Diversity Ministerial Forum of the Asia-Pacific Region, 9-11 May, 2012 শীর্ষক ফোরামে অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করেন। ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের সফরকালীন সময়ে বিএনসিইউ সমন্বয়কারীর ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এই মিনিস্টেরিয়াল ফোরামটি সংগঠনে বিএনসিইউ তার প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩৩টি রাষ্ট্র হতে ১৮ জন মন্ত্রী পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রতিনিধি দলসমূহ অংশগ্রহণ করে। সংস্কৃতি ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা ঘোষণা গ্রহণ করা হয়।  

 

১৬। UNESCO দ্বিবর্ষ ভিত্তিক participation program এর আওতায় সদস্য রাষ্ট্রের নিকট হতে প্রকল্প প্রস্তাব আহবান করে। প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র এ কর্মসূচির আওতায় সর্বাধিক ১০ টি জাতীয় এবং অনধিক ২ টা আঞ্চলিক/উপ-আঞ্চলিক/ আন্ত-আঞ্চলিক প্রকল্প প্রস্তাব প্রেরণ করতে পারে, প্রকল্পগুলোতে ইউনেস্কোই ফান্ড প্রদান করে। ২০১২-১৩ অর্থ-বৎসরে বাংলাদেশের যে সকল জাতীয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে তা নিম্নে ছক আকারে দেয়া হল।

 

প্রোজেক্টের শিরোনাম

বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান/সংস্থা

  বরাদ্দ

(ইউএস ডলারে)

                উদ্দেশ্য

  1. Capacity Building Of Bangladesh National Commission for UNESCO

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন।

১৬,০০০ (ষোল হাজার)

 

ক) লাইব্রেরির অটোমেশন সম্পন্ন করা।

খ) বিএনসিইউ’র কনফারেন্স কক্ষের সাউন্ড সিস্টেম আধুনিকীকরণ করা।

গ) বিএনসিইউ’র কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান।

  1. Promoting Culture through Film Festivals and Film Screening for Students in Schools and Colleges.

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র।

২৬,০০০

(ছাব্বিশ হাজার)

ক) আপামর জনসাধারণ, বিশেষ করে মহিলাদের সঠিক মূল্যবোধসম্পন্ন চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ করে দেয়া যা তাদের মধ্যে সংস্কৃতি ও নৈসর্গিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাবে।

খ) দেশ জুড়ে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্রসমাজ, বিশেষ করে ছাত্রীদের ভাল চলচ্চিত্র এবং ডকুমেন্টারি দেখার সুযোগ করে দেয়া।

গ) চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং চলচ্চিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করা এবং প্রদর্শিত চলচ্চিত্রের উপর নানাবিধ আলোচনা।

ঘ) চলচ্চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন এবং সঠিক মূল্যবোধসম্পন্ন চলচ্চিত্র দেখানোর মাধ্যমে তরুণ সমাজকে নেতৃত্বদানে পারঙ্গম করে তোলা।

  1. Equivalence Non-Formal Vocational Education Curriculum Development Project.

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো,

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০,০০০

(বিশ হাজার)

ক) Equivalence Non-Formal Vocational Education Curriculum for Pre-Voc-1, Pre-Voc-2 and Basic skills.

খ) প্রচলিত আনুষ্ঠানিক ও অনা নুষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যকার দূরত্ব চিহ্নিত করা।

গ) আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করা।

  1. Level of heavy metals, minerals and trace elements in selected foods consumed by urban population. 

প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়।

২৫,৫০০

(পঁচিশ হাজার পাঁচ শত)

ক) ঢাকা শহরে বসবাসরত দরিদ্র ও অদরিদ্র মানুষের প্রধান খাদ্য ও পানীয় এর মধ্যে ভারী ধাতব পদার্থ, খনিজ ও প্রাপ্ত পদার্থে যেমন (ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি) দূষণের মাত্রা নির্ণয় করা।

খ) প্রাত্যাহিক ও অভ্যাসগত খাদ্য তালিকার মাধ্যমে উপরিউক্ত পদার্থে ভোক্তা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরূপণ করা ও FAO/WHO কর্তৃক নির্ধারিত  প্রাত্যাহিক খাদ্যে উপরোল্লিখিত পদার্থসমূহের গ্রহণযোগ্য মাত্রার তুলনা করা।

  1. Documentation on Terracotta Temple of Bangladesh.

Traditional Photo Gallery (TPG), Bangladesh.

১৫,০০০

(পনের হাজার)

অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য-

ক) টেরাকোটা মন্দিরসমূহ খুঁজে বের করা।

খ) এ সকল মন্দিরের ছবি তুলে সংগ্রহে রাখা।

গ) উক্ত মন্দিরসমূহের ভূমি পরিকল্পনা ও উৎপত্তির স্বরূপ সন্ধান করা।

  1. Conservation of the Sunderbans (the World Heritage Site) through Indigenous Knowledge and Culture (CSIKC).

রূপান্তর, খুলনা।

২৫,৭০০

(পঁচিশ হাজার সাত শত)

ক) Indigenous knowledge ব্যবহারের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা।

খ) সুন্দরবন রক্ষার জন্য সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

 

১৭। UNESCO/ISESCO কর্তৃক ২০১২-২০১৩ অর্থ-বৎসরে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফেলোশিপ প্রদান করা হয় তা নিম্নের ছকে দেখানো হল। মোট ৬ জন কর্মকর্তা এর মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দ্বারা পেশাগত ক্ষেত্রে ও দেশের উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

 

Serial no.

Nominated person/institution

Name of the programme

    Year

    Contribution

1.

Palash Ranjan Sanyal

Student of Masters in Development Studies, University of Dhaka.

 

UNESCO/ISEDC Co-sponsored Fellowships Programme-2013

2013

UNESCO

2.

Mr. Dhrubo Alam

Assistant Engineer (Resettlement), Bangladesh Bridge Authority, Setu Bhaban, Banani, Dhaka-1212, Bangladesh.

UNESCO/POLAND Co-sponsored Fellowships Programme in Engineering cycle-2013

2013

UNESCO

3.

Mr. Md. Ataur Rahman

Deputy Director (Publication), Department of Archaeology, Ministry of Cultural Affairs.

UNESCO/China Great Wall Co-sponsored Fellowships Programme, 2012-2013

2012

UNESCO

4.

Dhaka Ahsania Mission

UNESCO International Literacy Prizes-2013

2013

UNESCO

5.

Ms. Salma Begum

Programme Officer

BNCU.

Mr. Abdul Mohammad Mokter Hossain

Senior Assistant Chief

Ministry of Education.

UNESCO/Republic of Korea Co-sponsored Fellowships Programme-2013

2013

UNESCO

6.

Ms. Kanika Mitra, Ph.D

Senior Scientific Officer

BCSIR.

UNESCO-L’OREAL International Fellowships for Young Women in Life Sciences-2013

2012

UNESCO

২০১৩

১৮। গত ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল ২০১৩ সালে UNESCO এর সহযোগিতায় সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে “Regional Training Workshop for the Officials of National Commissions of the Asia-Pacific Region” শীর্ষক ট্রেনিং ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশসহ চৌদ্দটি দেশের ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ১৮ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এ ওয়ার্কসপে কর্মকর্তাদের কাজের ক্ষেত্র ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ হয় এবং এ থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে আরও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।

 

১৯। ১০-২৬ এপ্রিল, ২০১৩ সালে ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডের ১৯১ তম সভায় যোগদান।

 

২০। ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের কনফারেন্স কক্ষে গত ১৬ মে ২০১৩ সালে “Participation in celebrating launch of the EFAGMR 2012” শীর্ষক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রোগ্রামে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, Save the Children এর কান্ট্রি ডিরেক্টরসহ ১০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো Global Monitoring Report (GMR) -এর বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করা এবং এর মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তিগণের মতামত পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে। EFA সংক্রান্ত সার্বিক চিত্র এর মাধ্যমে উন্মোচিত হয়।   

 

২১। UNESCO এর Participation Programme (2012-2013) এর আওতায় বিএনসিইউ’র লাইব্রেরির অটোমেশন ও কনফারেন্স কক্ষের সাউন্ড সিস্টেম আধুনিকীকরণের কার্যক্রম গৃহীত হয়।

 

২২। আইসেস্কোর সহযোগিতায় গত ১৪-১৭ জুলাই ২০১৩ সালে ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে “Regional Meeting on Successful Experiences and Best Practices in Literacy and Non-Formal Education” শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশসহ চারটি দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৪ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে ও এ শিক্ষার বিকাশে উপযোগী কৌশলসমূহ নিয়ে আলোকপাত করা হয় এবং বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় ঘটে যারা আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে, মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

 

 

Picture non-formal 2013.jpg

চিত্রঃ বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন আয়োজিত “Regional Meeting on Successful Experiences and Best Practices in Literacy and Non-Formal Education” শীর্ষক মিটিং-এ অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সাথে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব মহোদয় ও বিএনসিইউ সচিব

 

২৩। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় (Intangible Cultural Heritage List) মাত্র “বাউল সঙ্গীত” অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে বিএনসিইউ’র উদ্যোগের ফলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন বাংলা একাডেমী জামদানী, নকশিকাঁথা এবং রিক্সা পেইন্টিং এর ওপর মনোনয়ন ফরম ইউনেস্কো’র বিশেষজ্ঞ কমিটি বরাবর জমা দেয়। এছাড়া বিএনসিইউ বিশ্ব প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় (World Cultural & Natural List) নতুন আইটেম সংযোজনের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

 

২৪। ভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগ এবং বিশ্বময় মাতৃভাষার মর্যাদার স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ইউনেস্কো মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ইউনেস্কোর এই ঘোষণার প্রতি সম্মান জানানো এবং বিপন্ন ভাষাসমূহের রক্ষণাবেক্ষণের মহান দায়িত্ব নিয়ে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট। বিএনসিইউ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটকে ইউনেস্কো ক্যাটাগরি-২ সেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করেছে।

 

২৫। আজারবাইজানের বাকুতে ২-৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত Inter Governmental Committee for Intangible Cultural Heritage (ICH) এর ৮ম সেশনে ICH এর প্রতিনিধিত্বমূলক তালিকায় বাংলাদেশের পক্ষে Traditional Art of Jamdani Weaving কে অন্তর্ভুক্ত করে। উল্লেখ্য, বিএনসিইউ’র সংস্কৃতি বিষয়ক সাব-কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলা একাডেমী এ সংক্রান্ত নমিনেশন ফাইল প্রস্তুত করে। পুরো প্রক্রিয়ায় বিএনসিইউ বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগিতা প্রদান করে।

 

২৬। ২০১৩ সালে ইউনেস্কো সাধারণ সভার ৩৭ তম অধিবেশনে বাংলাদেশ পুনরায় ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের খরচ বহনসহ প্রচারণামূলক যাবতীয় কর্মকান্ডে বিএনসিইউ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। বিশিষ্ট লেখক ডঃ কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধি মনোনীত হন।

 

২০১৪

২৭। বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং কোরিয়ান ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের উদ্যোগে জামদানীকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে “Safeguarding ‘Jamdani’-Intangible Cultural Heritage from Bangladesh and Promoting a Creative Economy” শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি ১ জুন ২০১৪ হতে ১৫ নভেম্বর ২০১৪ এর মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে জামদানী বুননকারী কারিগর/সম্প্রদায়ের মধ্যে জামদানী সৃষ্টির ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্য সম্পর্কে সচেতনতা জাগ্রত করা, জামদানী ব্যবসা ও এ সংক্রান্ত কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে কারিগর এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করা, বিশেষ করে উদ্যোক্তা, হস্তশিল্প প্রদর্শনী দোকানের মালিক, গবেষক, সুশীল সমাজের সদস্য, ডিজাইনারদের নতুন পণ্যের প্রসার ও প্রচারে একটি সুসংগঠিত বিপণন ব্যবস্থা তৈরীতে ভূমিকা রাখা ইত্যাদি।          

 

২৮। আইসেস্কোর সহযোগিতায় ১৭ থেকে ১৯ জুন ২০১৪ তারিখে “National Training Workshop on the Role of Culture in Promoting Peace and Solidarity” শীর্ষক তিন দিন ব্যাপি একটি জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা ঢাকায় বিএনসিইউ কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ থেকে সরকারী ও বেসরকারি পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেন। শান্তি ও সংহতি প্রসারের জন্য সংস্কৃতি যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে সে বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করা হয়।

 

২৯। প্রতি বছরের মতো ২০১৪ এ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনসিইউ এর সচিবের নেতৃত্বে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।   

 

  • । UNESCO Participation Programme 2012-13 এর সফল সমাপ্তি ও উক্ত প্রোগ্রামের অন্যতম প্রকল্প Documentation on Terracotta Temples of Bangladesh এর মোড়ক উন্মোচন সংক্রান্ত সেমিনার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ তারিখে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনে অনুষ্ঠিত হয়।

 

  • । UNESCO Participation Programme 2014-15 উপলক্ষে প্রকল্প আহবান করা হয় এবং এর প্রেক্ষিতে বিএনসিইউ বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান/সংস্থা, এনজিও হতে প্রকল্প প্রস্তাব আহবান করে ৩ টি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার করে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১৮৪ টি প্রকল্প বিএনসিইউ-তে জমা পড়ে। জমাকৃত প্রকল্পগুলো থেকে উপযুক্ত প্রকল্প প্রস্তাব বাছাইয়ের লক্ষে বাছাই কমিটি ৫৪ টি প্রকল্প প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে চূড়ান্ত বাছাই কমিটির নিকট পেশ করেন। উচ্চ পর্যায়ের চূড়ান্ত বাছাই কমিটি বিগত ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ তারিখে ৭ টি প্রকল্প চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেন। বিএনসিইউ ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ তারিখে প্রকল্প ৭ টি ইউনেস্কো সদর দপ্তরে প্রেরণ করে। উল্লিখিত ৭ টি প্রকল্পের মধ্যে ৫ টি প্রকল্প ইউনেস্কো কর্তৃক নির্বাচিত করা হয়।

 

  • । UNESCO 2005 Convention on the Protection and Promotion Of the Diversity of Cultural Expressions এর অধীন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক তহবিল (International Fund for Cultural Diversity-IFCD)-হতে ৫ম বারের মত ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে প্রকল্প প্রস্তাব আহবান করা হয়। বিএনসিইউ’র উদ্যোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও হতে ৩২ টি প্রকল্প প্রস্তাব বিএনসিইউ-তে জমা পড়ে। উক্ত প্রকল্পগুলো থেকে গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিএনসিইউ কর্তৃক ৩ টি প্রকল্প প্রস্তাব ইউনেস্কো সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।

 

৩৩। UNDP Special Unit for South-South Cooperation এর সহায়তায় Korea Energy Management Cooperation and Chiangmai YMCA, Thailand এবং KNCU এর ব্যবস্থাপনায় ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত KNCU RICE প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। ২০১৩ সালে শিমরাইল হাই স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চেতনা উন্নয়ন সংস্থা, ঠাকুরগাঁও এ প্রকল্পের জন্য মনোনীত হয়। ২০১৪ সালে RICE প্রকল্পটি নতুন আঙ্গিকে UNESCO Bridge Climate Change Education Project নামে শুরু হয় এবং এর অধীনে বাংলাদেশ হতে প্রকল্প আহবান করা হয়। ২০১৪ সালে বিএনসিইউ থেকে অনুমোদনসাপেক্ষে ৫ টি প্রকল্প KNCU তে পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্য হতে ৩ টি প্রকল্প আয়োজক সংস্থা কর্তৃক চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়।  

 

৩৪। EIU Best Practices 2014-award, Wenhui Award for Educational Innovation 2014, ISESCO

Prizes for Science and Technology 2014, UNESCO/ISEDC Fellowships Programme, UNESCO/Poland Fellowships Programme, UNESCO International Literacy Prizes  ইত্যাদি পুরস্কারের জন্য প্রার্থিতা আহবান করা হয়। UNESCO/korean Fellowships Programme-2014–এ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জনাব মোঃ ফজলুর রহমান নির্বাচিত হন এবং তিনি ০১/০৯/২০১৪ থেকে ৩১/১০/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ফেলোশীপ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

 

  • । বিএনসিইউ’র জন্য গাড়ীচালক ও হিসাবরক্ষকের ২ (দুই) টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং গাড়ীচালক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে।

 

  • । বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোকে World Heritage Site এ তালিকাভুক্ত করার জন্য মনোনয়ন সংক্রান্ত ফাইল তৈরিতে কোরিয়ান ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের বিশেষজ্ঞগণের সহযোগিতায় বিএনসিইউ এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। ২২-২৪ এপ্রিল, ২০১৪ তে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

 

 

চিত্রঃ “Workshop on Preparation of Nomination File for UNESCO World Heritage List” ওয়ার্কশপে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর এম.পি. ও শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ।

 

৩৭। ০২-১৫ এপ্রিল ২০১৪ ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের ১৯৪ তম সভায় ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডে বাংলাদেশের মনোনীত প্রতিনিধি ডঃ কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল যোগদান করেন।

 

৩৮। বিএনসিইউ ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিস এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সম্মেলন কক্ষে ১ জুন ২০১৪ সালে “Launching Ceremony of EFA Global Monitoring Report 2013/4” শীর্ষক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য Global Monitoring Report (GMR) Summary-এর বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন এবং এর মাধ্যমে শিক্ষা বিষয়ক গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। এ রিপোর্ট এর মূল প্রতিপাদ্য হল শিক্ষণ ও শিখন-সবার জন্য গুণগত মান অর্জন।

 

৩৯। আইসেস্কো (Islamic Educational, Scientific and Cultural Organization-ISESCO) ও IICO (International Islamic Charitable Organization) এর সহযোগিতায় গত ২৯-৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে বিএনসিইউ সম্মেলন কক্ষে “National Workshop to Educate Women Leaders in the Field of Animal Production Projects and Agriculture” শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল মহিলা নেত্রীদের এবং মহিলাদের কৃষি-উদ্যান-পশুপালন কর্মে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি করা, আত্ম-কর্মসংস্থানের ধারণার বিকাশ ঘটানো, মহিলাদের আয় বর্ধন কাজে উদ্বুদ্ধ করা। এ কর্মশালায় বিভিন্ন পর্যায়ের ৩০ জন নারী কর্মকর্তা, নারী উদ্যোক্তা ও মহিলা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি অংশগ্রহণকারী নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।

 

৪০। ২০১৪ সালের ০২-০৪ ডিসেম্বর আইসেস্কোর সহযোগিতায় বিএনসিইউ’র সম্মেলন কক্ষে “Regional Workshop on Promoting Climate Change and Energy Management Education for Secondary School Teachers and Education Managers” শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলসমূহ, নানা সম্প্রদায় ও স্থানীয় প্রশাসনে জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত শিক্ষা প্রসারে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলা, শ্রেণীকক্ষে ও শ্রেণীকক্ষের বাইরে জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চার করা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও তা থেকে উত্তরণের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করা। বিভিন্ন পর্যায়ের ২৬ জন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন, এর মধ্যে মালয়েশিয়ার একজন কর্মকর্তা ছিলেন।

 

 

 

 

চিত্রঃ “Regional Workshop on Promoting Climate Change and Energy Management Education for Secondary School Teachers and Education Managers” শীর্ষক কর্মশালায় মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি. এবং শিক্ষা সচিব জনাব মো. নজরুল ইসলাম খান।

 

৪১। বিএনসিইউ’র উদ্যোগে আইসেস্কো’র সহযোগিতায় গত ২৬-২৮ আগস্ট ২০১৪ সালে “Regional Workshop on Flood Management and Flood Related Disaster Mitigation” শীর্ষক ০৩ দিন ব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল এ অঞ্চলের বন্যার প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করা, এশিয়া অঞ্চলে সদ্য সংগঠিত বন্যা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে মত বিনিময় করা এবং কিভাবে ঝুঁকির পরিমাণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা। বাংলাদেশ হতে ২২ জন এবং আফগানিস্তান ও ইরান হতে ০১ জন করে মোট ২৪ জন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

 

 

চিত্রঃ “Regional Workshop on Flood Management and Flood Related Disaster Mitigation” শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় উপস্থিত শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, জনাব মেসবাহ উল আলম, সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বিএনসিইউ সচিব জনাব মোঃ মনজুর হোসেন।   

 

 

৪২। বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে বাউল সংঙ্গীত এবং ‘জামদানী’ অন্তর্ভুক্তিকরণে বিএনসিইউ প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৪ সালে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে ‘যাত্রা’র মনোনয়ন ফাইল ইউনেস্কোতে প্রেরণ করা হয়।

 

২০১৫

৪৩। বিএনসিইউ’র কর্মকর্তা/কর্মচারিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। তিনজন কর্মকর্তা বিএসটিডি ও ব্যানবেইসে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তে দুজন কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (Typist) ব্যানবেইসে ‘Training course on Computer Basics and Productivity’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে।

 

৪৪। ২০১৩ সালে ইউনেস্কো সাধারণ সভার ৩৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশ পুনরায় পরবর্তী চার বছরের জন্য ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়। বিশিষ্ট লেখক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন, সে হিসেবে বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ড সভার সদস্য হওয়ায় ২০১৪ সালে ১৯৪ ও ১৯৫ তম নির্বাহী বোর্ড সভা এবং ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর ১৯৬ ও ১৯৭ তম নির্বাহী বোর্ড সভায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। নির্বাহী বোর্ডের আলোচ্য সভায় অংশগ্রহণের যাবতীয় কার্যাবলী বিএনসিইউ সম্পন্ন করে।   

 

৪৫। বিএনসিইউ এবং কোরিয়া ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কো’র যৌথ উদ্যোগে ভোলার দৌলতখান থানার চরখলিফা ইউনিয়নে বয়স্কদের সাক্ষরতা বিষয়ক একটি প্রকল্প (Literacy Campaign for the Women of Char Khalifa, one of the marginalized communities of Bangladesh) বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, প্রকল্পভুক্ত ইউনিয়নের কমপক্ষে ৫০০ জন নিরক্ষর নারীকে সাক্ষর করে তোলা। কোরিয়া ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইউ.এস. ২০,০০০ (বিশ হাজার) ডলার প্রদান করেছে। প্রকল্পের কার্যক্রম এপ্রিল ২০১৫ হতে শুরু হয়ে ডিসেম্বর ২০১৫ তে শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে পশ্চাদপদ নারীরা মৌলিক শিক্ষা প্রাপ্ত হয় যা তাদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে ভূমিকা পালন করে।

 

  • । UNESCO 2005 Convention on the Protection and Promotion Of the Diversity of Cultural Expressions এর অধীন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক তহবিল (International Fund for Cultural Diversity-IFCD)-হতে ৬ষ্ঠ বারের মত মে ২০১৫ তে প্রকল্প প্রস্তাব আহবান করা হয়। বিএনসিইউ কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও হতে প্রকল্প প্রস্তাব বিএনসিইউ-তে জমা পড়ে। গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে নির্বাচিত প্রকল্পসমূহ বিএনসিইউ কর্তৃক  ইউনেস্কো সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।

   

  • । ২০১৩ সাল পর্যন্ত KNCU RICE প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। ২০১৪ সালে RICE প্রকল্পটি নতুন আঙ্গিকে UNESCO Bridge Climate Change Education Project নামে শুরু হয় এবং এর অধীনে বাংলাদেশ হতে প্রকল্প আহবান করা হয়। ২০১৪ সালে বিএনসিইউ থেকে অনুমোদনসাপেক্ষে ৫ টি প্রকল্প KNCU তে পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্য হতে ৩টি প্রকল্প আয়োজক সংস্থা কর্তৃক চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়। মনোনীত তিনটি প্রকল্পের মধ্যে থেকে ২০১৪ সালে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য KNCU থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। বাকি দুটিতে KNCU ২০১৫ সালে বাস্তবায়নের নিমিত্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়। ২০১৫ সালে বাস্তবায়িত প&a
Download File