বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এর সহযোগিতায় এবং ইউনেস্কো’র অর্থায়নে পার্টিসিপেশন প্রোগ্রাম ২০২০-২০২১ এর অংশ হিসেবে বেঙ্গল প্ল্যান্টস রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে “Study of Diversity, Utilization & Conservation of Lotus in Bangladesh” শীষক কার্যক্রম। প্রকল্পের অংশ হিসেবে বেঙ্গল প্ল্যান্টস রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সারাদেশের পদ্মবিল নিয়ে সমীক্ষা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার এবং পদ্ম গবেষক সিকদার আবুল কাশেম শামসুদ্দীনের নেতৃত্বে রয়েছেন একদল তরুণ গবেষক। এ গবেষণার বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ও যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ সোহেল ইমাম খান বলেন, “ ইউনেস্কো সব সময় ঐতিহ্য রক্ষার কাজগুলো করে থাকে। স্টাডি অব ডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন অব লোটস ফ্রম বাংলাদেশ কর্মসূচী তারই অংশ। এসব পদ্ম শুধু সৌন্দর্যই দেয় না এর সংগে নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছে প্রকৃতির জীববৈচিত্র রক্ষা। পদ্মের পুষ্টি ও ঔষুধি গুণ অনেক। হুমকির মুখে পড়া পদ্ম রক্ষা, প্রকৃতির বৈচিত্র ও ঐতিহ্য রক্ষার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেছি আমরা”।
ইতোমধ্যে কর্মসূচির মাঠ পর্যায়ের কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয় বিশ্বের নতুন প্রজাতির হলুদ পদ্মের সন্ধান পাওয়া কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণগ্রাম বিলে। এ কর্মসূচীতে দক্ষিণগ্রাম বিল পরিদর্শনের পাশাপাশি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের হাতে প্রচারমূলক পোস্টার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার, বেঙ্গল প্লান্টস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ও পদ্ম গবেষক সিকদার আবুল কাশেম শামসুদ্দীন, বুড়িচংয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
এ কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মোঃ সোহেল ইমাম খান বলেন, আমরা ছোটবেলায় অনেক পদ্মবিল দেখেছি। কিন্তু এ ধরনের বিল কমতে কমতে বর্তমানে বিপজ্জনক একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এসব পদ্ম শুধু মনোমুগ্ধকর নয়, নানা পুষ্টি ও ঔষধিগুণও রয়েছে এর। হুমকির মুখে পড়া পদ্মকে রক্ষার কাজটিকে প্রকৃতির বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য রক্ষার দিক থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছি। আমাদের কাছে অনেক আবেদন এসেছিল। প্রাথমিকভাবে 'স্টাডি অব ডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন অব লোটাস ফ্রম বাংলাদেশ'সহ কয়েকটি প্রকল্প বাছাই করে ইউনেস্কোতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বেঙ্গল প্লান্টসের এই প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
এস এম ফয়সাল আরাফাত
প্রোগ্রাম অফিসার (আইসিটি ও এএসপিনেট)
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন
নিউজ কার্টেসিঃ সমকাল