Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সহযোগিতায় ইউনেস্কো ক্লাবের উদ্যোগে উদ্বোধন করা হলো “বিশ্বনাগরিকত্ব শিক্ষা বিকাশের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউনেস্কো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়সমূহের প্রসার” শীর্ষক কর্মসূচী


প্রকাশন তারিখ : 2021-08-31

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ)

 

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সহযোগিতায় ইউনেস্কো ক্লাবের উদ্যোগে উদ্বোধন করা হলো “বিশ্বনাগরিকত্ব শিক্ষা বিকাশের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউনেস্কো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়সমূহের প্রসার” শীর্ষক কর্মসূচী   

 

তারিখঃ ৩১ আগস্ট ২০২১ খ্রি.

 

“বিশ্বনাগরিকত্ব শিক্ষা বিকাশের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউনেস্কো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়সমূহের প্রসার” বিষয়ক কার্যক্রমের উদ্বোধনী কর্মশালা ৩১ আগস্ট ২০২১ খ্রি. তারিখে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ হাসানুল ইসলাম এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মোঃ সোহেল ইমাম খান। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের শিক্ষা বিষয়ক প্রধান মিজ. হুহুয়া ফ্যান।  

 

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ হাসানুল ইসলাম এনডিসি, Global Citizenship Education (GCED) এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লব এর নিবিড় সম্পর্কের বিষয়টি তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ শিক্ষার্থীদের অবশ্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) সম্পর্কে জানতে হবে”।  এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা বিষয়েও তিনি পুনরোল্লেখ করেন। তিনি বলেন “৪র্থ শিল্পবিল্পবের উপযোগী শিক্ষা হবে এমন যেটি সমাজ ব্যবস্থাকে ‘knowledge based’ থেকে ‘Innovative’ সমাজ ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করবে”। এ ক্ষেত্রে বিশ্বনাগরিকত্ব শিক্ষা বিকাশের  কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাঁর আলোচনায় প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিশ্বনাগরিকত্ব শিক্ষা বিকাশের  বিষয়ে উল্লেখ করেন। শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রমবর্ধমান এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিস এবং ইউনেস্কো ক্লাব বাংলাদেশ কে এই অবহিতকরণ কর্মশালা আয়োজনের জন্য তিনি সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের অবারিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। ইউনেস্কোর মূলমন্ত্র ‘Building peace in the minds of men and women’ এই ধারণা টি এবং বিশ্বনাগরিকত্ব শিক্ষার ধারণা একীভূত করে নিতে হবে। তবেই প্রযুক্তি এবং মানবিকতার এক মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠবে দক্ষ, সহমর্মী এবং সমমর্মী”।

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মোঃ সোহেল ইমাম খান  উপস্থিত অথিবৃন্দের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতে যখন বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মানবব্জাতির অস্তিত্বকে ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে তখন এই প্রযুক্তিকেই এটি মোকাবেলার হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। SDG-4, বিশেষকরে অভীষ্ট 4.7 যেটিতে মানসম্মত শিক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি তখনি সম্ভব হবে যখন বিশ্ব নাগরিকত্ব এবং শিক্ষার সহজাত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা একীভূত করা সম্ভব হয়ে উঠবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত Associated School Project Network (ASPnet) ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকবৃন্দ এই কর্মশালার মাধ্যমে তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও এ বিষয়ে অবহিত করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানের ছবি দেখতে ক্লিক করুন 

 

এস এম ফয়সাল আরাফাত

প্রোগ্রাম অফিসার (আইসিটি ও এএসপিনেট)

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন