Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল

জনাব মোঃ সোহেল ইমাম খান

ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন 

 

মোঃ সোহেল ইমাম খান, পিতা মরহুম হাসান ইমাম খান, মাতা মরহুমা সালেহা হাসান, গ্রামঃ নেওয়ারগাছা, পোস্টাফিসঃ উল্লাপাড়া আর/এস, থানাঃ উল্লাপাড়া, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ। সংবিধিবদ্ধতার খাতিরে এটিই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। তবে মূলত সরকারি চাকুরীজীবীর সন্তানের এবং নিজেও একই পেশার কারণে নিজ জীবনে ছুটে বেড়িয়েছেন অবিরাম। দুই-তিন বছর পর পর নতুন নতুন ঘাটে নৌকা বেঁধেছেন। এ যেনো যাযাবর বেদে জীবনের নৈমিত্তিক চালচিত্র।  

 তিনি রাজশাহীর একটি হাসপাতালে গত শতাব্দীর ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে জন্মগ্রহণ করেন।  লেখাপড়ার হাতেখড়ি  নানাবাড়িতেই। তবে আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু তাঁর পিতার কর্মস্থল যশোরে- সম্মিলনী  ইন্সটিটিউটে। এরপর বগুড়া জিলা স্কুল হয়ে রংপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯৮০ সালে এস এস সি পাশ করে দিনাজপুর সরকারী কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে আবার বগুড়ায় এসে সরকারী আজিজুল হক কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এইচ এস সি পাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভর্তি হন। ‘সমাজকর্ম’ বিভাগ থেকে মাস্টার্স (Master of Social Science) পাশ করে ১৩শ বি সি এস প্রশাসন ক্যাডারে নড়াইলে যোগদান করেন।  

চাকুরি জীবনে কাজ করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মেহেরপুর ও  রাজশাহীতে তাঁর ছিল দীর্ঘ কর্মকাল। ইউ এন ও হিসেবে দুটি উপজেলায় কাজ করেছেন। খুলনা এবং যশোর  সেনানিবাসে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক  (সার্বিক) হিসেবে বান্দরবান জেলায় কাজ করেছেন, এবং এরপর জেলা প্রশাসক হিসেবে নোয়াখালীতে দায়িত্ব   পালন করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ বছর মাঠ প্রশাসনে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। তাঁর নিজের ভাষায় এ যেন “হেথা নয় হোথা নয় অন্য কোথাও অন্য  কোনখানে”!   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (MoPA),  বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (BPATC) পরিচালক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে  উপসচিব হিসেবে কর্মকাল অতিবাহিতের পর যুগ্ম সচিব হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তিন বছরের কাজ করবার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তিনি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল (DSG) পদে কর্মরত।  

মাঝে আরো দুটি মাস্টার্স -Master of Business Administration (MBA) এবং    Master of Public Policy and Administration (MPPM) অধ্যয়ন করেছেন। সুযোগ হয়েছে ইংল্যান্ডের  ব্রাডফোর্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের। চাকুরি সূত্রে চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। সে সকল দেশে  বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। নাইজেরিয়াতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ এর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেগমেন্টে  বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।   

দেশ-বিদেশ ভ্রমণে তিনি দেখার চেষ্টা করেছেন সে দেশের মানুষকে- তাদের সভ্যতা-সংস্কৃতিকে।  তাঁর ভাষায় “প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আনুষ্ঠানিকতার শেষে উপলব্ধি হয়েছে- জীবন ও প্রকৃতির পাঠশালায় সিলেবাসহীন যে বিস্তৃত পাঠক্রম রয়েছে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণই প্রকৃত শিক্ষা। সে চেষ্টা চলছে অবিরাম। উল্লাপাড়ার অসংখ্য  স্মৃতি, এর ধূলিকণা যেনো আমার সত্ত্বায় মিশে আছে, তা আমার দেহস্থ কোষে কোষে অনুরণন তোলে অহোরাত্র। জীবনকে উপলব্ধির প্রথম পাঠ এখানেই। এ জীবন, -এ পৃথিবী অতি বর্ণিল, বিচিত্র তার গতি প্রকৃতি। মহাকালের অনন্ত চরাচরের পটভূমিতে ছড়িয়ে রয়েছে অপার সৌন্দর্য। সে সৌন্দর্যে অবগাহন পরম আরাধ্য। আনন্দ-বেদনা, হর্ষ-বিষাদ একই সময় একই সমতলে অস্তিত্বমান- সেসব সত্যকে সহজ এবং নির্মোহ ভাবে গ্রহণের চেষ্টায় রত”।    

জনাব মোঃ সোহেল ইমাম খান বরাবরই ছিলেন শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীত-সংস্কৃতিতে আগ্রহী । এটি তাঁকে  প্রণোদিত করেছে পুস্তক প্রকাশে। ইতোমধ্যে তাঁর গজলের উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ, ও প্রাসঙ্গিক অনুষঙ্গ বিষয়ক বহুল প্রচারিত ও প্রশংসিত গবেষণাধর্মী বই ‘গজল কথা’ প্রকাশিত হয়েছে। গীতিকবিতা বিষয়ক পুস্তক ‘ধূসর শূন্যতার কথকতা’-য় ৬৫টি গীতিকবিতা সহ এ বিষয়ে আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে। শিল্প, সৌন্দর্য ও নন্দনতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা পুস্তক ‘সৌন্দর্যের কথা’ প্রকাশের পথে। সংগীত চর্চ্চার পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের তিনি একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার। এসকল কিছুর মধ্যেই যেন জনাব  মোঃ সোহেল ইমাম খান জীবনের অর্থবহতা খুঁজে চলেছেন অবিরাম।